দেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। চট্টগ্রামের আড়তগুলো পেঁয়াজে ভরপুর। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ফুটপাতে পেঁয়াজ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে আড়তদারদের। কেউ আবার গাড়ি থেকে না নামিয়েই বিক্রি করে দিচ্ছেন। চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহ থাকায় পাইকারিতে দাম গত বছরের অর্ধেকেরও কম। বিক্রিতেও ভাটা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছর মন্ত্রণালয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩৮ লাখ ২১ হাজার টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয় অধিদপ্তর।
সরকারি হিসাবে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অন্তত চার থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন বেশি। তারপরও বিদেশ থেকে সাত-আট লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটাতে হয়। প্রতিবেশী এবং স্থলবন্দরের সুবিধা থাকায় ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণের অভাবসহ নানান কারণে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়। ফলে বাড়তি উৎপাদনের পরও চাহিদায় ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতেই প্রতি বছরই পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।