Wednesday , 19 February 2025 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. খুলনা
  5. খেলা
  6. গণমাধ্যম
  7. চট্টগ্রাম
  8. চাকরী
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

জাফলংয়ে ৬২ সাংবাদিকের নামে প্রতিদিন ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়, ঠিকাদার হুমায়ুন

প্রতিবেদক
Ayman
February 19, 2025 12:39 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের জাফলংয়ে প্রতিদিন ৬২জন সাংবাদিকের নামে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে স্বঘোষিত মূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন। জাফলংয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন, গরু, কসমেটিকস, স্বর্ণ, মাদক চোরাচালান থেকে ৬২ জন সাংবাদিকের নামে লাইনম্যান খ্যাত হুমায়ুন এ টাকা আদায় করেন। টাকা আদায় করে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কতিপয় সাংবাদিকের বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠিয়েও দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও সিলেট নগরী ভিত্তিক সাংবাদিকদের নামে এ টাকা আদায় করা হয়। এর বাইরে পুলিশ, বিজিবি, ডিবি, গোয়াইনঘাট ইউএনও এর নামে রয়েছে আলাদা চাঁদা। টাকার খনি হুমায়ুনের বিরুদ্ধে টাকার মর্মর গন্ধে বিভোর প্রশাসন কিংবা সাংবাদিক কেউ কোন প্রতিবাদ করেন না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নাতি পরিচয় দিয়ে জাফলংয়ে রাজত্ব করেছে। পট পরিবর্তনের পর প্রশাসন ও সাংবাদিকরা টাকার ঘ্রাণে পাগল হয়ে পোষ্যপুত্র হিসেবে হুমায়ুনকে রেখেছেন নিজ নিজ বগলে। স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাও রয়েছেন এই লাইনে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, হুমায়ুন জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও সিলেটের ৬২জন সাংবাদিককে ম্যানেজ করে জাফলংয়ে তার অবৈধ ব্যবসা, চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এলাকার লোকজন বিগত ১৬ বছর হুমায়ুনের নির্যাতনে ভয়ে মুখ খুলতো না। অনেকে তার নির্যাতনের শীকার হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। পট পরিবর্তনের পর এসকল নির্যাতিত লোকজন মুক্ত ভাবে চলাফেরার আশায় বুক বাঁধলেও বর্তমানে সে আরো বেপরোয়া। সিলেট জেলা বিএনপির একজন পদস্থগিত নেতা ও স্থানীয় বহিস্কৃত এক নেতা রয়েছেন টাকার কুমির হুমায়ুনের পেছনে। এতোদিন সে ও তার পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে অতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকলেও বর্তমানে বিএনপির শেল্টারে সে বিএনপিতে যোগদানের পায়তারা করছে।


৬২জন সাংবাদিকের নামে চাঁদা উত্তোলন করলেও লিস্ট ঘেটে দেখা যায়, বেশির ভাগই অনলাইন ও ফেসবুক ভিত্তিক সাংবাদিক। রয়েছে নাম সর্বস্ব কিছু সাংবাদিক ক্লাবও। প্রতিষ্টিত কিছু টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকরাও আছেন লিস্টে। মাঝেমধ্যে এসকল ভূইফোড় সাংবাদিকরা চাঁদার পরিমাণ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন।


ইসিএ ভূক্ত এলাকাসহ জাফলংয়ে মন্দির, মসজিদ, বাড়িঘর খনন করে অবাধে পাথর উত্তোলন করলেও প্রশাসন নির্বিকার। সকলেও হুমায়ুনের টাকার মোহে অন্ধ। মাঝেমধ্যে সিলেট থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করলে আগের রাতে পুলিশ অভিযানের খবর হুমায়ুনকে জানিয়ে দেয়। হুমায়ুন অবৈধ পাথর খনি মালিকদের জানিয়ে দিলে তারা অভিযানের আগেই যন্ত্রপাতি সহ সঠকে পড়েন। পরিবেশ অধিদপ্তরের আর কিছুই করার থাকে না। স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করতে না পেরে গতকাল রাতে হুমায়ুন ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বিমান যোগে ঢাকায় অবস্থান করছে। সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করতে পারলে কেল্লাফতে। কোটি কোটি টাকার হাতছানি হুমায়ুনকে কোন কিছুতেই নিভৃত করা যাচ্ছে না।

এব্যাপারে হুমায়ুনের ব্যক্তিগত মোবাইলে বক্তব্যের জন্য কল দিলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মন্ত্রণালয়ে। আমার বিশেষ কাজে। তোর যা মন চায় লিখ।  (ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালি দিয়ে) আমার কিছুই হবে না। আর টাকার ভাগ লাগলে চুপি চুপি বলবে। অন্য কোন আলাপের জন্য আমাকে কল দিবে না।

(বি:দ্র:) শীঘ্রই ৬২ জন সাংবাদিকের লিস্টসহ সংবাদ প্রকাশিত হবে। এই ৬২ জনের ছবি সংগ্রহ ও লিস্টের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান)

সর্বশেষ - বিশেষ প্রতিবেদন