Monday , 17 February 2025 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. খুলনা
  5. খেলা
  6. গণমাধ্যম
  7. চট্টগ্রাম
  8. চাকরী
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতিকে সোনার নৌকা উপহার দেওয়া কে এই কোটিপতি হুমায়ুন?

প্রতিবেদক
Ayman
February 17, 2025 11:43 am

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে সাবেক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নাতি পরিচয়দানকারী হুমায়ুন আহমদকে নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড়া শুরু হয়েছে। অশিক্ষিত, স্বঘোষিত মূর্খ হুমায়ুনকে নিয়ে চলছে রাতভর আলোচনা। চায়ের দোকান থেকে পাথর কোয়ারী, রাতের আঁধারে ভারতীয় অবৈধ বুঙ্গা, দেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালান সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক এই বুম সাংবাদিক। জাফলংয়ের বাজারের অদূরে চৈলাখেল এলাকায় বাসা থাকলে তিনি বাসায় না থেকে মামার বাজারের এক বস্তিতে রাত যাপন করেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, হুমায়ুন জাফলং এলাকার অঘোষিত বুঙ্গার স¤্রাট। তিনি রাতের আধারে তার বাহিনী নিয়ে বুঙ্গার মালামাল পারাপার, ইসিএ ভুক্ত এলাকা থেকৈ পাথর উত্তোলনের চাঁদা আদায় এসবই তার পেশা।


লাইনম্যান নামে পরিচিত এই কতিত বুম সাংবাদিক ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে অস্ত্র হাতে দেখিয়েছেন ক্ষমতার দাম্ভিকতা। অসংখ্য ছাত্র-জনতার তার বাহিনীর ছুড়া গুলিতে আহত হয়েছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি আতœগোপনের পরিবর্তে ইসিএ ভুক্ত এলাকা থেকে পাথর লোটপাটে ছিলেন ব্যস্ত। তার নেতৃত্বে প্রায় ৫ কোটি টাকার পাথর লুঠ হয়েছে। দেশের পট পরিবর্তনের পর হুমায়ুন আরো বেপরোয়া হযেছে উঠেছে। এখন তারি বাহিনী সারা জাফলং নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলন, বুঙ্গার মালামাল পারাপার বাবত প্রতিদিন হুমায়ুনের বাহিনী কালেকশন করছে ৫ লক্ষাধিক টাকা। পুলিশ, বিজিবি, সাংবাদিকের নামে এসব চাঁদা উত্তোলন হচ্ছে।
কয়েক বছর আগে হুমায়ুন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে সোনার নৌকা উপহার দিয়ে তার আস্তাভাজন হয়েছিল। এই সুযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে তার যাওয়া আসা ছিল ডালভাত। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপির সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছেড়ে দিত। এলাকার লোকজন এসব দেখে হুমায়ুন বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন আওয়াজ তুলতো না। এমনকি গোয়াইনঘাটের প্রশাসনও সব সময় তাকে সমীহ করে চলতো। সময়ের পরিক্রমায় হুমায়ুন ফেসবুক থেকে এসব ছবি ডিলিট করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষের শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারী আমলে সে অনেক নীরিহ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। একবার তার একটি চাঁদাবাজীর ভিডিও ভাইরাল হলে হুমায়ুন ক্ষনিকের জন্য পড়ে যায় বিব্রত অবস্থায়। ভাইরাল ভিডিওতে শোনা যায়, হুমায়ুন বলছে সে রাষ্ট্রপতির অতি কাছের লোক। সারা গোয়াইনঘাটের সাংবাদিক এক পাল্লায় আর সে এক পাল্লায়। তারপরও তার পাল্লা ভারী হবে। রাষ্ট্রপতির নামে সে একজন বুঙ্গার ব্যবসায়ীকে প্রতিদিন ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। অনেকে এই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছে। এ নিয়ে হুমায়ুর আদালতে সাইবার মামলা করে। পরবর্তীতে চতুর হুমায়ুন মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হবে বুঝতে পেরে বিবাদীদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। সম্প্রতিও তার চাঁদাবাজির অনেক ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান,, জাফলং বল্লাঘাট জুমপাড়, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ ভুক্ত) ফ্যাসিস্ট এলাকায়,পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ’র নাতি পরিচয় দেওয়া এক মূর্খ চাদাবাজ সাংবাদিক পরিচয়ধারী হুমায়ুন ও তার দুই সহযোগীর নের্তৃত্বে চলছে পাথর লুটপাট। থানা পুলিশ, ইউএনও, এসপি, ডিআইজি, নাম ব্যবহার করে অন্যান্য পাথরের গর্ত থেকে প্রতিদিন ১৫ হাজার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মেনেজ করার জন্য প্রতি সাপ্তাহে ৫ হাজার টাকা চাদা উত্তোলন করছে। এই চাদাবাজ পাথর কোয়ারী বালিবাড়ী মন্দিরের জুম পাড় তার নিয়ন্ত্রাধীন পাথরের গর্তের ছবি ও ভিডিও সহ বাংলা টিভি, প্রতিদিনের সংবাদ, ও ইংরেজী দৈনিক কান্টি টুডে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায়, সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন গালিগালাজ করে।
এই চাদাবাজ অশিক্ষিত মূর্খ, তার বড় ছেলে ছাত্রলীগের যগ্ন সম্পাদক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দলনের সময় বাবা ছেলে মিলে ছাত্র জনতা নিধনে লাঠি হাতে রাস্তায় অবস্থান করে তার ভিডিও ফুটেজ ছবি সংরক্ষিত। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় রাষ্ট্রপতির দাপট ও দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের নামে তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলা গুলো গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও তদন্ত ওসি মেহেদী হাসান মামলা রেকড করেনি। পরে কোটে দাখিল করে তার সাঝানো মামলা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
চাদাবাজী ও নারী নির্যাতন সহ দুই টি মামলার আসামী সে। চাদাবাজি, জমি দখল সহ মিথ্যা মামলা হামলা ভয় দেখিয়ে মানুষের মধ্যে সবসময় আতংকের সৃষ্টিকারী এই চাদাবাজ। দেশের পটপরিবর্তন হওয়ার পরও দাপটের সঙ্গে প্রশাসনের সাথে দহরম মহরম সর্ম্পক তার। জানাগেছে,বারকী নৌকা শ্রমিকরা তাকে চাদা না দিলে প্রশাসন মাধ্যমে অভিযান করিয়ে নৌকা ভাঙ্গচুর করে
অথচ জুমপাড় এলাকায় তার ৫টি ফেলুডার ও এস্কেভেটর দিয়ে পাথর উত্তোলন হয় সেখানে অভিযান হয় না। এমন অভিযোগ বারকী শ্রমিকদের। পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক এই চাদাবাজের নাম শুনার পর তার নামে কোন মামলা করার সাহস পায় না। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোস’র চাদাবাজ,ম ূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুনকে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনার জোরদাবি জানাচ্ছেন।

 

সর্বশেষ - জাতীয়