Thursday , 20 February 2025 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. খুলনা
  5. খেলা
  6. গণমাধ্যম
  7. চট্টগ্রাম
  8. চাকরী
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

সিলেটে ৬২ সাংবাদিকের ঠিকাদার স্বঘোষিত মূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন পলাতক

প্রতিবেদক
Ayman
February 20, 2025 5:57 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটে ৬২ সাংবাদিকের ঠিকাদার হুমায়ুন পলাতক রয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নাতি পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ানো হুমায়ুন স্বঘোষিত মূর্খ সাংবাদিক। পট পরিবর্তনের পর নতুন রুপে জাফলংয়ে চাদাবাজি করলে বিগত কিছুদিন থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। ৬২জন সাংবাদিকের নামে প্রতিদিন ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের সংবাদ প্রকাশিত হলে সিলেটের সাংবাদিকরা হুমায়ুনের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে হুমায়ুন গা ঢাকা দিয়েছে।


স্মাগলার হুমায়ুন একজন জাফলংয়ের স্বঘোষিত মূর্খ সাংবাদিক। কোন লেখাপাড়া না থাকা স্বত্তে¡ও বিগত দিনে মাইটিভি টাকার বিনিময়ে হুমায়ুনকে গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেয়। বুম খ্যাত সাংবাদিক হুমায়ুন মাইটিভির নাম বিক্রি করে গোয়াইনঘাট এলাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ডন হয়ে উঠে। সর্বশেষ সে জাফলং থেকে ভারতীয় অবৈধ মালামাল, দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজ বাবত সিলেটের ৬২জন সাংবাদিকের নামে প্রতিদিন ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা আদায় করে সপ্তাহে কিছু সাংবাদিকের ভিন্ন নামে রেজিষ্ট্রিকৃত মোবাইলে বিকাশে চাঁদা পাঠানো। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে সিলেটের অনেক সাংবাদিক চাঁদাবাজির বিষয়ে খোজখবর নেওয়া শুরু করেন।


হুমায়ুন একজন চাঁদাবাজ সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাঝেমধ্যে সে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব সংবাদ মিথ্যা বলে দাবী করতো। সিলেটের অখ্যাত, বিখ্যাত, অনলাইন, ফেসবুক অনেক সাংবাদিক হুমায়ুনের কাছ থেকে চাঁদা নিলেও তারা দুর্দিনে হুমায়ুনকে ছেড়ে দূরে আছেন। উপরন্তু বিগত ১৫ বছর যারা হুমায়ুনকে ব্যবহার করেছেন এমনকি এই কিছুদিন আগেও হুমায়ুনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন তারাই ভালো মানুষকে সাজতে হুমায়ুনকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন আক্ষেপ করে বলেন, সিলেট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুরের অনেক নামিদামি সাংবাদিকও আমার কাছ থেকে সপ্তাহে চাঁদা নিয়েছেন। দেশের পট পরিবর্তনের পর তাদের আশ্বাসে আমি প্রকাশ্যে আসলেও কিছুদিন থেকে আমার অতীতের ছবি প্রকাশিত হলে তারা আমার কাছ থেকে দূরত্ব বঝায় রাখছেন। বিপদে আপদে তারা আমাক সহযোগিতা করার বদলে এখন তারাই বলছেন আমাকে ফ্যাসিস্টের দূসর, চাঁদাবাজ।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সিলেটের জাফলংয়ে প্রতিদিন ৬২জন সাংবাদিকের নামে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে স্বঘোষিত মূর্খ সাংবাদিক হুমায়ুন। জাফলংয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন, গরু, কসমেটিকস, স্বর্ণ, মাদক চোরাচালান থেকে ৬২ জন সাংবাদিকের নামে লাইনম্যান খ্যাত হুমায়ুন এ টাকা আদায় করেন। টাকা আদায় করে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কতিপয় সাংবাদিকের বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠিয়েও দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও সিলেট নগরী ভিত্তিক সাংবাদিকদের নামে এ টাকা আদায় করা হয়। এর বাইরে পুলিশ, বিজিবি, ডিবি, গোয়াইনঘাট ইউএনও এর নামে রয়েছে আলাদা চাঁদা। টাকার খনি হুমায়ুনের বিরুদ্ধে টাকার মর্মর গন্ধে বিভোর প্রশাসন কিংবা সাংবাদিক কেউ কোন প্রতিবাদ করেন না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নাতি পরিচয় দিয়ে জাফলংয়ে রাজত্ব করেছে। পট পরিবর্তনের পর প্রশাসন ও সাংবাদিকরা টাকার ঘ্রাণে পাগল হয়ে পোষ্যপুত্র হিসেবে হুমায়ুনকে রেখেছেন নিজ নিজ বগলে। স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাও রয়েছেন এই লাইনে।


অনুসন্ধানে জানাযায়, হুমায়ুন জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও সিলেটের ৬২জন সাংবাদিককে ম্যানেজ করে জাফলংয়ে তার অবৈধ ব্যবসা, চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এলাকার লোকজন বিগত ১৬ বছর হুমায়ুনের নির্যাতনে ভয়ে মুখ খুলতো না। অনেকে তার নির্যাতনের শীকার হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। পট পরিবর্তনের পর এসকল নির্যাতিত লোকজন মুক্ত ভাবে চলাফেরার আশায় বুক বাঁধলেও বর্তমানে সে আরো বেপরোয়া। ৬২জন সাংবাদিকের নামে চাঁদা উত্তোলন করলেও লিস্ট ঘেটে দেখা যায়, বেশির ভাগই অনলাইন ও ফেসবুক ভিত্তিক সাংবাদিক। রয়েছে নাম সর্বস্ব কিছু সাংবাদিক ক্লাবও। প্রতিষ্টিত কিছু টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকরাও আছেন লিস্টে। মাঝেমধ্যে এসকল ভূইফোড় সাংবাদিকরা চাঁদার পরিমাণ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন।


এ ব্যাপারে সিলেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক সাংবাদিক বলেন, শুনেছি আমাদের নামে হুমায়ুন চাঁদাবাজি করে। এর আগেও তার বিষয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির অভিযোগ শুনেছি। তার চাঁদাবাজির সাথে সিলেটের মূলধারার সাংবাদিকরা জড়িত নয়। ব্যক্তি বিশেষে কয়েকজন জড়িত। তাদের অপরাধের কারণে আজকে ঢালাও ভাবে সিলেটের সাংবাদিকরা চাঁদাবাজীর অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। হুমায়ুনকে আইনের আওতায় এনে এদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। পাশাপাশি মাইটিভি কোন যোগ্যতা বলে হুমায়ুনকে নিয়োগ দিয়েছে তা খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সর্বশেষ - বিশেষ প্রতিবেদন