Sunday , 20 April 2025 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. খুলনা
  5. খেলা
  6. গণমাধ্যম
  7. চট্টগ্রাম
  8. চাকরী
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

সিলেটে ৬ আলোচিত ডেবিলকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রতিবেদক
Ayman
April 20, 2025 7:50 am

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটে জুলাই হত্যাকান্ডে সামনে থেকে অস্ত্রহাতে নেতৃত্ব দেওয়া ৬ আলোচিত ডেবিলকে খুজছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কিছুদিন আগে তাদের সহযোগী বাটা মাতাব ও বেসামাল আরজুকে র‌্যাব-৯ গ্রেফতারের পর থেকে আলোচিত ডেবিলরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাদেরকে খোঁজে পেতে চলছে তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে বেশিদিন আত্মগোপনে থাকা সম্ভব হবে না বলে প্রশাসন মনে করে। এদেরকে গ্রেফতার করলে সিলেটের আইন শৃঙ্খলার উল্লেখ যোগ্য অগ্রগতি হবে বলে প্রশাসন মনে করছে। আলোচিত ৬জন ডেবিল হলো, সুনামগঞ্জে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা নামক পত্রিকার সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন উরফে বাটা মাতাবের প্রধান সহযোগী হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হুমায়ুন কবির উরফে বন্দুক কবির, উগ্র ইসকনের সিলেট বিভাগীয় প্রধান হক সুপার মার্কেটের ভেনাস জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দ ইস্কন, অনলাইন পোর্টাল কানা বার্তার প্রধান সম্পাদক ও সিলেট জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হেলাল আহমদ উরফে কানা হেলাল, খাটের রানী বেসামাল আরজুর খাটের রাজা খালেদ, ডেবিল মুন্না ও অহেদুল ইসলাম।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানাযায়, তাদের বিরুদ্ধে জুলাই গণ অভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতার উপর হামলায় সিলেটের কোতয়ালী থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চব্বিশের গণ অভ্যূত্থান দমনে হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সম্পাদক মাহতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে তারা অস্ত্র হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের অস্ত্রের আঘাতে অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে। অনেক আহত ভূক্তভোগী মামলার এজাহারে তাদের অস্ত্রের আঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরও তারা বসে থাকে নি। বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। জিন্দাবাজারের হক সুপার মার্কেটের ৩য় তলা হাওরাঞ্চলের কথার অফিসে বসে সিলেটের পরিবেশকে অশান্ত করতে নানা কূটচাল ও নীল নকশা আকতে থাকে। এরই ধারাবহিকতায় সিলেট বিভাগের ইস্কন প্রধান ও ভেনাস জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দের নেতৃত্বে প্রথমে তারা সংখ্যা লঘু নির্যাতনের দোহাই দিয়ে সিলেটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নামে আন্দোলন শুরু করে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আড়ালে কানাইঘাট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সিম্বল ও পোশাক পরিহিত করে সিলেটে আন্দোলন করে। সংখ্যা লঘু আন্দোলনে সফল না হওয়ায় তারা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে থাকে। সিলেটের সাবেক পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ও যুবলীগ ক্যাডার সাজলুর সহযোগিতা ও অর্থায়নে তারা আরো গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল সাফায়াত খানের নেতৃত্বে নগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল করায়।
বন্দুক হুমায়ুন, গোবিন্দ, বাটা মাতাবের পরিকল্পনায় সিলেটে ইসরাইলের গণ হত্যা বিরোধী বিক্ষোভে ঢুকে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করে। এর অংশ হিসেবে খালেদ, অহেদ, বাটা মাতাব, বেসামাল আরজু, বন্দুক কবির, ইসকন গোবিন্দ মিলে আগের দিন সিলেটের কানাইঘাট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে চুর, ছিনতাইকারীদের এনে গোবিন্দ ও হুমায়ুনের বাসা এবং নগরীর বিভিন্ন হোটেলে রাখে। পরদিন মিছিলের মধ্যে ঢুকিয়ে বাটা মাতাব জিন্দাবাজারের বাটা শু-রুম ও বন্দুক কবির কেএফসি ভাংচুরের সময় তাদের লোকজন দিয়ে ভাংচুর চালায়। এসব দৃশ্য তারা তাদের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে নগরীতে আরো ভাংচুরের উস্কানি দেয়। এরপর প্রশাসনের টনক নড়ে। তারা ভাংচুর কারীদের ধরতে অভিযান চালায়। অনেককে ধরার পর বাটা মাতাব, বন্দুক কবির, ইসকন গোবিন্দ, বেসামাল আরজু, খাটের রাজা খালেদ, ডেবিল মুন্না ও অহেদেরে ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সেই অনুসারে প্রশাসন অভিযানে নামে। অভিযানের টের পেয়ে সবাই গা ঢাকা দেয়।
প্রশাসনের দীর্ঘ নজরদারীর পর বাটা মাতাবকে র‌্যাব সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। অল্পের জন্য ডেবিল মুন্না পালিয়ে যায়। বাটা মাতাবের তথ্যের ভিত্তিকে বেসামাল আরজুকে বালুচর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এর পর থেকে বন্দুক কবির, ডেবিল মুন্না, ইসকন গোবিন্দ, কানা হেলাল, খাটের রাজা খালেদ ও অহেদ গা ঢাকা দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানায়ায়, তাদের ধরতে যৌথ বাহিনী তৎপর রয়েছে। যেকোন সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
সিলেটের সুধীজনরা জানিয়েছেন, সিলেটের আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য এরাই দায়ী। তাদের পরিকল্পনায় ফ্যাসিস্টদের দূসররা সিলেটে একের পর এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটিবে। বাটা মাতাব ও বেসামাল আরজুকে গ্রেফতার করায় র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্য জানিয়েছেন সিলেট বাসী। একই সাথে স্বস্থির নিঃশ্বাসও ফেলছেন তারা। পাশাপাশি অস্ত্রদারী চয়জন চিহ্নিত ডেবিলকে গ্রেফতার না হওয়ায় ভয় ও আতংক বিরাজ করছে। যেকোন সময় তারা বড় ধরনের দূঘূটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

সর্বশেষ - জাতীয়