ডেস্ক রিপোর্ট :
সারাদেশে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ডেভিল নেতাকর্মীরা জেলে অথবা দেশ-বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রম সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা। এখানকার আওয়ামী ডেভিলরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। পূর্বের ন্যায় বিস্তার করে চলছে দলীয় আধিপত্য। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন করে পূরোদমে আইন বাণিজ্য, তদবীর বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, অবৈধ পাথর বাণিজ্ ও চোরাচালানের বখরা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
কানাইঘাট থানা পুলিশের ওসি আব্দু আওয়াল, ইউএনও-----সহ প্রশাসনের সকল কর্তাব্যক্তি এখনো উটাবসা করেন তাদের দিকনির্দেশনায়। অদৃশ্য কারণে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের হাতে হাত মিলিয়ে চলছে।
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের দুর্ধর্ষ ও প্রভাবশালী ডেভিল হচ্ছেন উপজেলার ধনপুরের মৌলভী সোলাইমানের পুত্র সহোদর মুমিন রশিদ ও নজরুল ইলসাম হারুন। মুমিন রশিদ কামাইঘাট পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তার ছোটভাই নজরুল ইসলাম হারুন কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০২১ সাল থেকে অদ্যাবধি তারা দুু'জন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। মূলত আওয়ামী লীগের সহোদর এই দুই ডেভিলই নিয়ন্ত্রন করছে পূরো উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
আওয়ামী লীগ পদবীধারী নেতা হওয়ার পাশাপাশি মুমিন রশিদ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কন্ট্রোল করছে কানাইঘাট থানা পুলিশ কানাইঘাট প্রেসক্লাব। থানার ওসি আব্দুল আউয়ালের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে আহার-বিহারসহ দিনে প্রায় ২০ ঘণ্টা থানা কমপ্লেক্সেই অবস্থান করে ডেভিল মুমিন রশিদ। থানা পুলিশের চাদাবাজি, আইন বাণিজ্য,তদবির বাণিজ্য, ঘুষ-দুর্নীতি ও চোরাচালান বাণিজ্য সবকিছুতেই ভাগ বসিয়ে রেখেছে,ডেভিল মুমিন রশিদ।
বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের পদধারী কোনো নেতা সাংবাদিক হতে পারেন না। কিন্তু এই নিয়ম-নীতি লংঘন করেই মুমিন রশিদ নিজেকে সাংবাদিক ও কানাইঘাট প্রেসক্লাবের অন্যতম কর্তা হয়ে সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মোট কথা আওয়ামী ডেভিল মুমিন রশিদের দিকনির্দশা নিয়েই চলে কানাইঘাটের পুলিশ ও সাংবাদিক।
মুমিন রশিদের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম হারুন নিয়ন্ত্রন করছে কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসন। টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি ঘুষ-দুর্নীতি সবটিতেই ভাগ বসিয়ে আছে হারুন। উপজেলা ভূমি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একক নিয়ন্ত্রন রয়েছে ডেভিল মুমিন ও হারুনের হাতে।
কানাইঘাট পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুমিন রশিদ ও তার ছোটভাই নজরুল ইসলাম হারুন ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। জুলাই আন্দোলনে কানাইঘাট পৌর শহরসহ সিলেট নগর জুড়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর বহু হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল এই দুইজন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে কানাইঘাট বিএনপি ও জামায়াতের শিথিলতায় তাদেরকে জুলাই আন্দোলনের কোনো মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়নি। তবে অজ্ঞাতনামা আসামীর কাতারে রয়েছে তারা।
কানাঘাটের সাধারণ ছাত্র-জনতা অবিলম্বে সহোদর এই দুই আওয়ামী ডেভিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মিনু বাঙালী, অফিস : ১২৬/এ, উত্তরা, ঢাকা। ই-মেইল : dhakaview88@gmail.com
এই ওয়েব সাইটের লেখা, ভিডিও, ছবি অনুমতি ব্যতিত ব্যবহার নিষেধ।
Copyright © 2025 ঢাকা ভিউ ।. All rights reserved.