Tuesday , 29 April 2025 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. খুলনা
  5. খেলা
  6. গণমাধ্যম
  7. চট্টগ্রাম
  8. চাকরী
  9. ঢাকা
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

অরবিন্দু ও শাহনাজ-রিনা সিন্ডিকেটের হাতেই ওসমানী হাসপাতালের সকল অপকর্মের নিয়ন্ত্রন

প্রতিবেদক
Ayman
April 29, 2025 10:21 am

বিশেষ প্রতিবেদন:
সিলেটের প্রায় কোটি মানুষের সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন আটশত শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা দেওয়া হয় প্রায় ৩ হাজার মানুষকে। বিগত ২০১৫ সাল থেকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জিম্মি হয়ে আছেন হাসপাতালে কিছু কর্মচারী ও একটি নার্স সিন্ডিকেটের কাছে। এই কয়েকজনের সিন্ডিকেট এতো প্রভাবশালী যে রোগী কিংবা রোগীর স্বজন থেকে শুরু করে হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের কাছে অসহায়। কারো কাছে অভিযোগ দিয়েও মিলেনা প্রতিকার। কারণ হাসপাতালের প্রশাসন এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। দীর্ঘদিন পর গত বছরের ৫ আগষ্ট সেখ হাসিনা সরকার পতন হলে দূর্নীতিবাজ অনেক নার্স, কর্মচারী কয়েকদিন হাসপাতালে আসা বন্ধ করে গাঁ ডাকা দেয়। সে সময় সচেতন মহল মনে করে ছিলেন এবার হয়তো হাসপাতালের ভোগান্তি, দূর্নীতি, অনিয়ম, ওষুধ চুরি, সিট বাণিজ্য, কিছুটা হলেও কমে আসবে। কারণ এর কয়েকদিন আগেই দুদুকের একটি মামলায় হাসপাতালের এই সিন্ডিকেটের অধিপতি নার্স ইসরাইল আলী সাদেক কারাগারে চলে যান। কিন্তু তার তৈরী ডালপালা ছিলো ঠিকই স্বপদে বহাল। এখন এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছেন বির্তকৃত নার্স অরবিন্দু দাস, তার কথিত প্রেমিকা শাহনাজ, সেবা তত্ত¡াবধায়ক রিনা বেগম, উপসেবা তত্ত¡াবধায়ক ফেরদৌসি বেগম সহ আরো কয়েকজন। নার্স অরবিন্দু দাস ও শাহনাজ বেগম, রিনা বেগম, ফেরদৌসি বেগম পালাতক সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলয়ের হাসপাতাল শাখার নেতাকর্মী কর্মী। কিন্তু সরকারের পঠ পরিবর্তন হওয়ার সাথে-সাথে বিগত দিনের এসব সুবিধা ভোগীরা নিজেদের রাজনৈতিক লেবাস বদলের পায়তারা শুরু করে। আড়াল থেকে এই সিন্ডিকেটটিকে সব রকম সহযোগিতা করছেন হাসপাতালের অপরাধ সম্রারাজ্যর অধিপতি ইসরাইল আলী সাদেক ও এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। পুরো সাদেক সম্রারাজ্যের নিয়ন্ত্রন এখন বির্তকৃত স্টাফ নার্স অরবিন্দু চন্দ্র দাস ও ভারপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপার নার্স শাহনাজসহ কয়েকজনের হাতে। এই কয়েকজনের কাছেই হাসপাতালের প্রায় ৮শত নার্স, আউট সোসিং কোম্পানি ২৫০ জন কর্মী একরকম জিম্মি অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। এই চক্রের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির রির্পোট আর কখনো আলোর মুখ দেখেনা। ফলে তদন্ত চলাকালেই এদের শাস্তির বদলে সুবিধাজনক জায়গায় পোস্টিং করা হয়। সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরো নার্সিং সিষ্টেমটাই এখন নার্স অরবিন্দু তার কথিত প্রেমিকা শাহনাজ বেগম, মেট্টোন রিনা বেগম ও ফেরদৌসী চক্রের হাতে। যার জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা দিন দিন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। ফলে পরিচালকের শত কষ্ট এখন বিফলতায় রুপ নিচ্ছে। নার্স অরবিন্দুর বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্তের জন্য সিলেট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ কুলসুমাকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশদেন কলেজ অব নার্সিং শেরেবাংলা নগর ঢাকার অধ্যক্ষ শাহীনূর বেগম। তিনি পরিচালক (শিক্ষা ও শৃংখলা) অতিরিক্ত দায়িত্ব নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর। যাহার স্বারক নং ৪৫.০৩.০০০০.০০৭.২৭.৪৭২.২৪.৩২১, তাং ২৪/১১/২০২৪ ইং। কিন্তু সেই তদন্ত রির্পোট আজও দাখিল হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কারণ অরবিন্দু দাস টাকা দিয়ে সেই রির্পোটটি গায়েব করে দিয়েছেন। অরবিন্দু চন্দ্র দাস সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন স্টাফ নার্স (ব্রাদার) মাত্র। কিন্তু বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে তার ক্ষমতার দাপটে তিনিও তার সহযোগী ইসরাইল আলী সাদেক হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য এক ক্ষমতাধর। তাদের সহযোগী ছিলেন নার্স শাহনাজ বেগম ও সেবা তত্ত্বাবধায়ক রিনা বেগম। এক কথায় তাদের নের্তৃত্বেই হাসপাতালে চলতো নার্সদের পদন্নোতি, বদলী, রোস্টার বাণিজ্য, এ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য, হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবৈধ স্ট্যান্ড বাণিজ্য, হাসপাতালের স্টোরের সরকারি ঔষধ বাণিজ্য। ইসরাইল আলী সাদেককে সামনে রেখে সব কাজ করে নিতেন নার্স অরবিন্দু, শাহনাজ, রিনা বেগম। তাদের অপকর্মের দলনেতা ব্রাদার ইসরাইল আলী সাদেক কারাগারে গেলে, সেই সিন্ডিকেটের হাল ধরেন নার্স অরবিন্দু দাস, নার্স শাহনাজ বেগম, মেট্টোন রিনা বেগম, সহকারী মেট্টোন ফেরদৌসী বেগম। তবে সাদেক গ্রেফতার হলে নার্স অরবিন্দু দাস কিছুদিন নিজে গা-ঢাকা দেন। তখন এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব পান অরবিন্দু দাসের কথিত প্রেমিকা নার্স শাহনাজ বেগম ও সেবা তত্বাবধায়ন রিনা বেগম ও সহকারী সেবা তত্ত্ববধায়ক ফেরদোসী বেগম। পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অরবিন্দু দাস হাসপাতালে হাজির হয়ে সাদেক সিন্ডিকেট নিজেই নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করেন। সিন্ডিকেট ধরে রাখার জন্য কথিত প্রেমিকা শাহনাজ বেগমকে ভারপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপারের দায়িত্ব দেন অরবিন্দুগংরা।শতাধিক নার্স জানান, ওসমানী হাসপাতালে এখন ইসরাইল আলী সাদেক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন (ব্রাদার) নার্স অরবিন্দু দাস ও নার্স শাহনাজ বেগম, রিনা বেগম। অরবিন্দুকে এমন অবস্থানে ধরে রাখতে নেপথ্যে কাজ করছেন হাসপাতালটির সেবা তত্ত¡াবধায়ক রিনা বেগম ও সহকারীর সেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও হাসপাতালের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। হাসপাতালে রিনা বেগম আরেক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক পদে কর্মরত। হাসপাতাল থেকে কোন নার্সকে কোথায়ও ট্রেনিংয়ে পাঠাতে হলে রিনা বেগমই তাদের মনোনয়ন করে থাকেন। তবে সেই নার্স অরবিন্দু আর শাহনাজের পছন্দের হতে হবে। গত কয়েক মাস আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ নার্সের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করার সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পরে এই ১৬ নার্সকে বেতন ভাতার সকল টাকা রাষ্ট্রি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। দুদক সিলেটের উপ-পরিচালক রাফী মো.নাজমুস সাদাত জানান তদন্তকালে সব ধরনের সহযোগিতা করেন সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর রাশেদ মুনীর। এর পিছনে জড়িত রয়েছেন নার্স অরবিন্দু দাস , শাহনাজ বেগম, মেট্টোন রিনা বেগম সিন্ডিকেট। পরে এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় মেট্টোন রিনা শুনানি ছিলো চলতি মাসের ১৫ তারিখে সচিবালয়ে। সেখানে তত্ত¡াবধয়াক রিনা বেগম স্বশরিরে হাজির হয়ে মামলার শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। কারণ তিনিই ছিলেন লুটপাটের মহারাণী। নিজের কমিশন নিয়ে ডিউটি না করে বেতন ভাতা তুলতে এসব নার্সদের সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। সিনিয়র স্টাফ নার্স অরবিন্দু চন্দ্র দাস ও নার্স শাহনাজের দৌরাত্ম্য এতো বেশী, যেটির কোন পরিসীমা নেই। সব জায়গায়ই খাই খাই অবস্থা বিরাজমান। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৫ সাল থেকে ওসমানী মেডিকেলে নিজেদের একটি রাজত্ব্য গড়ে তোলে ছিলেন ইসরাইল আলী সাদেক ও অরবিন্দু দাস। সাদেক ডিউটি না করেই হাসপাতালের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। আর অরবিন্দু সব ম্যানেজ করে দিতেন সাদেক কে। পরিচালক থেকে শুরু করে সকলের রুমে বসে নিজেই সব ধরণের নির্দেশনা জারি করতেন সাদেক। এদিকে ক্ষমতাধর অরবিন্দু চাকুরী জীবনের শুরু থেকে সুবিধাজনক দপ্তরেই ডিউটি করে আসছেন। প্রথমে রেকর্ড শাখায়, সেখান থেকে স্টোরের দায়িত্ব পালন করেন। এ সকল দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেই রাতারাতি কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন অরবিন্দু দাস ও তার কথিত প্রেমিকা শাহনাজ বেগম। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সারাদেশে স্বৈরাচারের দোসরা পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও নার্স অরবিন্দু দাস- শাহনাজ বেগম নিজেদের রাজত্ব্য এখনো ঠিকই ধরে রেখেছেন। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে হাসপাতালের সেবা তত্ত¡াবধায়ক রিনা বেগমের সাথে গভির সম্পর্ক থাকায়। অরবিন্দু দাস হাসপাতালের কর্মরত নারী নার্সদের বিভিন্ন সময়ে অমানষিক ভাবে মানষিক ও শারিরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন করে থাকেন বলেও সত্যতা পাওয়া গেছে। বিগত ২০১৭ সালে হাসপাতালের তৎকালীন সিনিয়র স্টাফ নার্স কুলসুমা বেগম বিগত সরকারে আমলে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়শন (বিএনএ)র এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাকে বিএনপি নেত্রী আখ্যায়িত করে হাসপাতাল অভ্যন্তরেই তাকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন অরবিন্দু দাস, শাহনাজ বেগম, রেখা বনিক। সেদিন কুলসুমাকে মারধর করে মেডিকেল থেকে বের করে দিয়েছিলো আওয়ামীপন্তি এই চক্রটি। এ ঘটনার পর রেখা বনিকের বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যমে আসার পর তাকে মৌলভীবাজারে বদলী করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় অরবিন্দু দাস আর কথিত প্রেমিকা শাহনাজের রাজত্ব্য। ২০২২ সালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.মাহবুবুর রহমান র্ভঁইয়া যোগদানের পর ঔষধ স্টোরে অনিয়ম-দূর্নীতির দায়ে অরবিন্দুকে সেখান থেকে সরিয়ে মানসিক ওয়ার্ডে বদলী করেন। চতুর অরবিন্দু সে সময় তার দলবল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সিটি মেয়র (পালাতক) আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গ্রুপে যোগদান করেন। এরপর থেকে নিজে পালাতক সাবেক মেয়র বলয়ের লোক পরিচয় দিয়ে ওসমানী হাসপাতালে মেয়র গ্রুপ নামে নতুন একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। অরবিন্দু সেই গ্রুপের উপদেষ্টা। হাসপাতালে প্রায় আটশত নার্স চাকরি করলেও যে কোন ট্রেনিংয়ে অরবিন্দু, রিনা বেগম ও শাহনাজের পছন্দের নার্সদেরকেই পাঠানো হয় বারবার। এদিকে অরবিন্দু দাসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ থাকলে তিনি স্বপদে এখনো বহাল আছেন। কারণ অরবিন্দুর একজন লোক রয়েছেন প্রশাসন শাখায়, যিনি আড়ালে থেকে তাকে সব রকম সহযোগীতা করে থাকেন। নার্স অরবিন্দুর দাস স্টোর কিপার ইনচার্জ থাকাকালে স্টাফ নার্স (৮নং ওয়ার্ডের ইনচার্জ) শাহানাজের সাথে দুজনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সময় অরবিন্দু রিনাকে ম্যানেজ করে ২৫ নং ওয়ার্ডে নিজের ডিউটি নিয়ে নেন। এ সময় দুজনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়। এনিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। সেই রির্পোটটি আলোরমুখ দেখেনি। বিগত কয়েক বছর থেকে শাহনাজ বেগম নিয়মবহির্ভূত ভাবে হাসপাতাল হোস্টেলের একটি রুম নিজে একাই ভোগ করে আসছেন। তার সাথে অন্য কোন নার্স দেওয়া যাচ্ছেনা। তার আধিপত্ব্যর কারণে হাসপাতাল হোস্টেলের শাহনাজের বøকে তার পছন্দের বাহিরে কোন নার্সকে থাকতে দেওয়া হয়না। যে রুমে চারজন নার্স বসবাস করার কথা, সেখানে শাহনাজ একাই একটি রুম জবর দখল করে আছেন।
এদিকে শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তাকে এখনো ভারপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপারের দায়িত্ব দিয়ে রাখেছেন অরবিন্দু দাস ও মেট্টোন রিনা বেগম। তবে সূত্র বলছে, বির্তকৃত শাহানাজ বেগমকে ভারপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপার করার পিছনে উপতত্বাবধায়ক ফেরদৌসী আক্তারে ভূমিকাটা ছিলো অনেক বেশি। হাসপাতালে আউট সোর্সিং নিয়োগ নিয়ে অরবিন্দু দাস ও শাহনাজ বেগম-রিনা বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসমানী হাসপাতালে সৌদিয়া নামের যে কোম্পানী টেন্ডারের মাধ্যমে হাসপাতালে আউট সোসিংয়ে লোক নিয়োগ করেছে সেখানেও অরবিন্দু-শাহনাজ-রিনা বেগমের একটি টাকার অংক রয়েছে। কারণ প্রতিজন আউট সোর্সিং কর্মী নিয়োগ দিতে একেক জনের কাছ থেকে কোম্পানীটি ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করেছে এমন সত্যতা সরেজমিনে পাওয়া গেছে। কিন্তু এরা দীর্ঘ ৪ মাস থেকে হাসপাতালে ডিউটি করলে তাদের বেতন ভাতা দিচ্ছেনা কোম্পানীটি। ফলে অন্যর হাতের দিকে চেয়ে থাকতে হচ্ছে এসব কর্মীদের। যার ফলে এরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে। রোগী আর রোগীর স্বজনদের সাথে করছে অবৈধ আর্থিক লেনদেন। এনিয়ে কোন কথা না বলতে আউট সোর্সিং কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে রেখেছেন অরবিন্দু দাস-শাহনাজ বেগম, রিনাসহ সৌদিয়া কোম্পানি মালিক। এই চক্রটি এতোই প্রভাবশালী তারা দীর্ঘ দিন থেকে সরকারি বেতনসহ সব ধরণের দূর্নীতি অনিয়ম করলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কোন লোক নেই ওসমানী হাসপাতালে। এরা নিজেদের অফিসের নামে পুরাতন বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় দুটি রুম দখল করে নিজেদের অফিস ঘর খোলে বসেছেন। ডিউটির বদলে সেখানে সারাদিন আড্ডা আর কমিশন বাণিজ্যের হিসাবে নিকেশ চলতেই থাকে। এই দুটি রুমে বসেই নার্সদের বিভিন্ন ভাবে গায়েলের পরিকল্পনা হয় থাকে বলে একাধিক নার্স অভিযোগ করেন। অনেক সময় তাদের কথা না শুনলে শারিরীক নির্যাতন নিপীড়ন করা হয় নার্সদের। এদিকে অরবিন্দুর দাসের তদন্ত কমিটির প্রধান কুলসুমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অরবিন্দু দাসের সেই তদন্ত নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি, আর শাহনাজের শাস্তির বদলে তাকে ভারপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপার হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করায় নার্সদের মাঝে চরমক্ষোভ বিরাজ করছে।

সর্বশেষ - বিশেষ প্রতিবেদন